ঢাকা , শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ , ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ড. ইউনূসের চীন সফরে কী নিয়ে আলোচনা হবে?

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ০৭:৫৩:৪১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ০৭:৫৩:৪১ অপরাহ্ন
​ড. ইউনূসের চীন সফরে কী নিয়ে আলোচনা হবে?
আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে বেইজিং তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বুধবার (১৯ মার্চ) হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চীনের সঙ্গে নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন করে দুই দেশের সম্পর্কের মাপকাঠি নির্ধারিত হবে।  

এ বিষয়ে চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডিজ সেন্টারের উপ-পরিচালক লিন মিনওয়াং বলেছেন, পতনের এক মাস আগে শেখ হাসিনা চীনে গিয়েছিলেন। ওই সময় বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে ২০টি সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যার মধ্যে চীন বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউয়ান সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ড. ইউনূস তার সফরে শেখ হাসিনার করে আসা এসব চুক্তির কিছু এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন লিন মিনওয়াং।

তিনি বলেন, “(হাসিনার পতনের) পর অনেক সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড থমকে ছিল। আমি মনে করি এগুলো এখন শুরু করার সময় এসেছে।” শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে দেয় বেইজিং। তাকে ভারতপন্থি হিসেবে দেখা হতো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, ড. ইউনূসের চীন সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি যৌথ নদী রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগের উৎপত্তি ভারতে। আর এ বিষয়টি কাজে লাগিয়ে সীমান্ত আলোচনায় সুবিধা আদায় করে নিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ২০১৬ সালে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও পুনরুত্থান প্রজেক্টের ঋণের জন্য চীনের দারস্থ হয় বাংলাদেশ। যা পরবর্তীতে দিল্লিতে সতর্কতার সৃষ্টি করে।

এরপর থেকে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও এই প্রকল্পে ভারতকে সহায়তা করতে একাধিকবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন। কিন্তু ভারত জানিয়েছে, এই প্রকল্পের কাজ তারাই করবে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন ও ভারতের মধ্যে যে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে এই প্রকল্পটি সেটির একটি বড় উদাহরণ। এ নিয়ে দুই দেশই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন বলেছেন, “তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হলে এটি শুধুমাত্র টেকনিক্যাল অথবা আর্থিক বিষয় হবে না। এটি হবে একটি রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

তিনি বলেন, “তিস্তা প্রকল্প ছিল বাংলাদেশ-ভারত-চীনের ত্রিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি অন্যতম বিষয়। যা নিয়ে বড় মতানৈক্য ছিল। এবার যদি এ বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক কিছু হয়; তাহলে সেটি এই অঞ্চলে নিজেদের কৌশলগত স্বাধীনতা প্রমাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন হবে।”

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ